চরিত্রগত লক্ষণ ও ১। নিম্নগতিতে ভয় ; ২। শিশু ঘুমাইতে হঠাৎ চিতৎকার করিয়া কাঁদে : ৩। মাথার চুল জটা বাঁধে, নাকে পিচুটি, নাকের উগা চক্চকে ও লালবর্ণ, জলের মত তরুণ সদ্দিদি নির্গমন সত্ত্বেও মধ্যে মধ্যে নাক বন্ধ (এমন-কা্ব্ব) ; ৫। মুখের ভিতরেও জিহবায় ক্ষত ; ৬। প্রত্যেকবার প্রস্রাবত্যাগের পূর্ব্বে শিশুর ক্রন্দন ; ৭। অধিক পরিমাণে সাদা চটচটে ডিমের লালার মত প্রদরস্রাব, স্রাব গরম ; ৮। গায়ের চামড়া অপরিষ্কার, গায়ে একটু কিছু লাগিলেই ঘা হয়, পাকে, পূর্য পড়ে (হিপার, সাইলি)। মুখের ক্ষত-শিশুদিগের মুখের ক্ষত, শিশু স্তন ধরিয়া ছাড়িয়া দেয় ক্ষত হইতে রক্তস্রাব হয় ; মুখের ভিতর, জিহবায় ও তালুর শেষভাগে ঘা, মুখের ভিতর গরম, এই প্রকার মুখের ঘায়ের কিম্বা জিহ্বায় ক্ষতের সঙ্গে যদি বােরাক্সের চরিত্রগত- নিম্নগতিতে ভয় পাওয়া লক্ষণটি থাকে তাহা হইলে উহা অব্যর্থ ঔষধ মার্কুরিয়সেমুখের ঘায়ে লালা নিঃসরণ হয়। এরাম ট্রাইফাইলমের ক্ষতে ব্যথা থাকে এবং নাসিকা ও মুখের চারিদিকে বড় বড় মামড়ি পড়ে, ইহাতে রােগী কেবল নাক খোঁটে (সােহাগার খই গ্লিসারিণের সহিত মিশ্রিত করিয়া জিহবায় ২/৪ দিন বাহ্যিক প্রয়ােগ করিলে জিহ্বার ক্ষত আরােগ্য হয় ; অনেকে জিহ্বার ও মুখের ঘায়ের নিমিত্ত মধুসহ সােহাগার খই ব্যবহার করেন, তাহাতে অনেকস্থলে হয়ত অনিষ্ট হয়, মধুতে এসিড-ফারমেন্টেসন বৃদ্ধি করে, তাহাতে ঘা আরও অধিক বাড়িয়া যাইতে পারে। মুখে ঘা হইলে চিনি প্রভৃতি মিষ্ট দ্রব্য ও যে সকল দ্রব্যে অধিক ষ্টার্চ্চ আছে, সেই সকল দ্রব্য পরিমাণে যত অল্প হয় খাওয়া ভাল, কারণ তাহাতেও ফারমেন্টেসন (পচন) বৃদ্ধি হয়।
No comments:
Post a Comment